ঢাকা: অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ৮৯ ইটভাটা মালিকের আবেদনে সাড়া দেননি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে উত্তরের তিন জেলা বগুড়া, লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁওয়ের ৮৯ ইটভাটা মালিকের করা আবেদনে রোববার (৪ ডিসেম্বর) ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।
ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
আদালতে মালিকদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
গত ৭ নভেম্বর বগুড়া, টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁও জেলার অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম সাতদিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন ও অবৈধ ইটভাটার তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ওই আদেশ দেন।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বগুড়া-ঠাকুরগাঁও-লালমনিরহাটের অর্থাৎ তিন জেলার ৮৯ মালিক আপিল বিভাগে আবেদন করেন। কিন্তু আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত স্থগিতাদেশ না দিয়ে নো অর্ডার আদেশ দিয়েছেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রয়েছে।
হাইকোর্টের আদেশের পর এ আইনজীবী জানিয়েছিলেন, আইন অনুসারে লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যাবে না। এমন বিধান থাকলেও কয়েকটি জেলায় শীত মৌসুমকে সামনে রেখে অবৈধ ইটভাটাগুলোতে কার্যক্রম শুরু করছে মর্মে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই সব প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে গত ৬ নভেম্বর একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
রুলে ইটভাটা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধ ইটভাটা পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া, চার জেলার ডিসি ও এসপিসহ ২৪ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২২
ইএস/আরবি