ঢাকা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদ হত্যা মামলার আসামি সায়মন উদ্দিনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি এমরান আহমদ ভূঁইয়া।
তিনি জানান, আসামি সায়মন উদ্দিনকে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর গ্রেফতার হয়। এই আসামি ঘটনার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ জোরালোভাবে তার জামিন আবেদেনের বিরোধীতা করেছে। আদালত তাকে জামিন না দিয়ে আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।
গত বছরের ২২ নভেম্বর নগরীর পাথুরিয়াপাড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেলসহ দু’জন। সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রও ছিলেন।
২০১২ ও ২০১৭ সালে সোহেল কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র হন। তিনি সুজানগর এলাকার সৈয়দ মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে।
আর নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
পরদিন ২৩ নভেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় শহরের সুজানগর বৌবাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে এজহারনামীয় ১১ জনসহ মোট ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নবগ্রামের শাহ আলমের ছেলে সোহেল ওরফে জেল সোহেল, সুজানগর পানির টাংকি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রফিক মিয়ার ছেলে মো. সাব্বির হোসেন, সুজানগর পূর্বপাড়া বৌ বাজারের মৃত কানু মিয়ার ছেলে সুমন, সংরাইশ এলাকার (রহিম ডাক্তারের গলি) কাকন মিয়া ওরফে চোরা কাকনের ছেলে সাজন, তেলীকোনা প্রাইমারি স্কুলের পূর্ব পাশের (মনির মিয়ার বাড়ি) আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান রকি, সুজানগর পূর্বপাড়া বৌবাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ারর ছেলে আলম, সুজানগর পূর্ব পাড়ার নূর আলীর ছেলে জিসান মিয়া, সংরাইশ (বেকারি গলি) এলাকার মঞ্জিল মিয়ার ছেলে মাসুম, নবগ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে সায়মন উদ্দিন ও সুজানগর বৌ বাজার এলাকার কানাই মিয়ার ছেলে রনি।
অবশ্য প্রধান আসামি শাহ আলম, আসামি সাব্বির ও সাজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সোহেলকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। এসব সন্ত্রাসীরা বহু মামলার আসামি।
এ মামলায় একই বছরের ৬ ডিসেম্বর গ্রেফতার হন সায়মন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২২
ইএস/এসএ