ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ছাত্র অমিত খুনে ২ জনের দণ্ড কমে যাবজ্জীবন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২২
ছাত্র অমিত খুনে ২ জনের দণ্ড কমে যাবজ্জীবন

ঢাকা: ঢাকার পল্লবীতে বেসরকারি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ছাত্র অমিত সাহাকে হত্যার দায়ে তার দুই বন্ধুকে বিচারিক আদালতে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডিত আরেক আসামিকে খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত।



মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।  

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল করিম।

আশফাক আহমেদ শিহাবের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মামুন মাহবুব, এম আশরাফুল ইসলাম। আল আমিন ইসলাম পিন্টুর পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মমতাজ বেগম।

রুহুল আমিন রুবেলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল ও সাফায়েত হোসেন সজীব।

২০১২ সালের ২১ নভেম্বর পল্লবীর এক বাসায় খুন হন ২০ বছর বয়সী অমিত। ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসনের ছাত্র ছিলেন তিনি। হত্যাকারীরা তার মরদেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে বাসা থেকে ল্যাপটপ, ট্যাব, সোনার গয়নাসহ প্রায় ৯ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় বলে মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০১২ সালের ৪ নভেম্বর স্ত্রী রিক্তা ও ছেলেকে নিয়ে তীর্থ দর্শনে ভারতে গিয়েছিলেন ব্যবসায়ী শ্যামল চন্দ্র সাহা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে তাদের ভারতে রেখেই ১০ নভেম্বর দেশে ফেরেন অমিত। দেশে ফেরার পর পল্লবীর বাসায় মামা কৃষাণ সাহার সঙ্গে থাকেন অমিত। এ ঘটনার দিন বিকেলে কৃষাণ সাহা কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে অমিতের শোবার ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে টাই দিয়ে বাঁধা অবস্থায় অমিতের মরদেহ ঝুলতে দেখেন। খবর পেয়ে দেশে ফিরে ছেলের বন্ধু শিহাব, পিন্টু ও রুবেলের নামোল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন শ্যামল সাহা।

আসামিরা প্রথমে ওই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করলেও পরে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তাদের কাছ থেকে লুট করা কিছু মালামালও উদ্ধার করে পুলিশ।

তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৯ এপ্রিল তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বিচার শেষে ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন।

রায়ে তিন আসামির মধ্যে আশফাক আহমেদ শিহাব ও আল আমিন ইসলাম পিন্টুকে মৃত্যুদণ্ড এবং রুহুল আমিন রুবেলকে যাবজ্জীন কারাদণ্ড দেন। পরে এ মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।  

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল করিম জানান, মৃত্যুদণ্ডের দুই আসামির দণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন দিয়েছেন। আর যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামিকে খালাস দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২২
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।