ঢাকা: খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা ও হরি নদীর জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আদেশ প্রতিপালন না করায় খুলনার সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক ও ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি একটি ইংরেজি দৈনিকে ‘ইউনাইটেড দে কিল রিভার্স’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে একই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি রিট করা হয়। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, খুলনার জেলা প্রশাসক ও ডুমুরিয়ার এসি ল্যান্ডকে সিএস/আরএস অনুসারে জরিপ করে ভদ্রা ও হরি নদীর সীমানা নির্ধারণ করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে অনুসারে জেলা প্রশাসন জরিপ করে ১৪টি ইটভাটার তালিকা আদালতে দাখিল করেন। এরপর ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ৬০ দিনের মধ্যে ১৪টি স্থাপনা অপসারণ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
কিন্তু আদেশ প্রতিপালন না করায় আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর ২৫ অক্টোবর আদালত রুল জারি করেন। এরপরও ইটভাটা উচ্ছেদ না করায় এইচআরপিবির পক্ষে বিবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত হাজিরার আবেদন দাখিল করে। শুনানি শেষে জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ও ডুমুরিয়ার ইউএনও শরীফ আসিফ রহমানকে ১০ জানুয়ারি তলব করেন বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বদলি হয়েছেন।
আরও পড়ুন>>>
>>> ভদ্রা-হরি নদীর জায়গায় ১৪ ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশ
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২২
ইএস/আরআইএস