ঢাকা: জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলোর কার্যক্রম এবং ঢাকার আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় যোগসূত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু। জামায়াত আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানের রিমান্ড শুনানি শেষে ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আব্দুল্লাহ আবু বলেন, আনসার আল ইসলামের দুজন সদস্যকে এই আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। যেহেতু জামায়াতের আমিরের ছেলে ডা. রাফাত আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের সমন্বয়ক। এই মামলায় গ্রেফতার অন্য তিন আসামি স্বীকারোক্তিতে রাফাতের কথা বলেছেন। এতে প্রমাণিত হয় জামায়াতসহ অন্য স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠনগুলোর সহায়তায় একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার ও একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।
তিনি বলেন, রাফাত ছাড়াও এই মামলার আরও একজন আসামির বাবা জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই বিষয়টিকে হাল্কাভাবে দেখার সুযোগ নেই। এই জঙ্গি সংগঠনকে আশ্রয়-প্রশ্রয় ও অর্থায়নের সঙ্গে জামায়াতসহ অন্য আর কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে তদন্ত কর্মকর্তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পক্ষে আমরা শুনানি করেছি। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে তাকে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারীরা। এরপর ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট তাদের যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গ্রেফতার দেখায়।
গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াত। আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ নানা দাবিতে মাঠে থাকার ঘোষণা দেয় দলটি। এর আগে গত ৯ নভেম্বর জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াত আমিরের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
কেআই/এমজেএফ