ঢাকা: ২০২০ সালে লিবিয়ার মিজদাহ এলাকায় ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করার প্রেক্ষাপটে হওয়া এক মামলায় মাদারীপুরের জুলহাস সরদারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে জামিন দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুন নাহার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান।
২০২০ সালের ২৮ মে লিবিয়ার মিজদাহ এলাকায় ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে মানব পাচারকারীরা। এর মধ্যে ১১ জনের বাড়ি মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকায়।
জুলহাস মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সত্যবতী গ্রামের আবদুল মজিদ সরদারের ছেলে।
ভুক্তভোগীদের পরিবারের দাবি জুলহাস সরদারের মাধ্যমে নিহত কয়েকজনকে লিবিয়া পাঠানো হয়েছিল।
এ ঘটনায় রাজৈরের বিদ্যানন্দী গ্রামের নিহত মানিক হাওলাদারের বাবা শাহ আলম হাওলাদার বাদী হয়ে জুলহাস সরদারসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে রাজৈর থানায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা করেন।
নিহত বিদ্যানন্দী গ্রামের জুয়েলের বাবা রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে জুলহাস সরদারসহ চারজনের নামে মানব পাচার আইনে আরেকটি মামলা করেন রাজৈর থানায়।
এছাড়া বদরপাশা এলাকার নিহত রহিম খালাসির ভাই আবুল খায়ের খালাসিও বাদী হয়ে রাজৈর থানায় মামলা করেন। এই মামলায় জুলহাস সরদারসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানায়ও জুলহাস সরদারের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা করেন বামনডাঙ্গা গ্রামের নিহত সুজন মৃধার পিতা কাবুল মৃধা।
২০২০ সালে জুলহাস সরদার (৩৫) করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি ছিলেন। পরে ২০২০ সালের ৯ জুন দুপুরে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরপর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, ২০২০ সালের ১ জুন রাজৈর থানায় নিহত রহিম খালাসির ভাই আবুল খায়ের খালাসির করা মামলায় জুলহাসকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। কারণ এই মামলার প্রধান আসামি জামিনে রয়েছেন।
তবে অন্য মামলাগুলোতে জুলহাস জামিন পেয়েছেন কিনা জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
ইএস/এমজেএফ