ঢাকা: দ্রুত বিচার ও রায় কার্যকরে সন্ত্রাসবাদ, নারী ও শিশু নির্যাতন, মানবপাচারের মতো অপরাধগুলো কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৫৯তম বার্ষিক সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে দুর্ভাগ্য সন্ত্রাসীদের আক্রমণ থেকে আমাদের আদালতগুলোও রেহাই পায়নি। ঝালকাঠিতে বোমা মারলো, গাজীপুরে বোমা মারলো। জুডিসিয়াল অফিসারকে হত্যা করলো। কেউ কেউ আহত হলেন। অনেক সময় গাড়িতে আক্রমণ করা হয়।
এসব ঘটনার পর বিচারকদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে বিচারকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন রায় দিতে হয়, রায় দিয়ে যখন ঘরে ফিরতে যান যেকোনো সময় তাদের ওপর হামলা হতে পারে। তা যেন না হয়, সেজন্য কি কি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি ও আরও ব্যবস্থা নেবো। যাতে সবাই নিরাপদে থাকেন।
সন্ত্রাসের অপরাধের ধরনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসের কার্যক্রমের ধরন পাল্টে যাচ্ছে। এখানেও সাইবার ক্রাইমের ধরন বেশি। তার জন্য আমরা আইন করেছি। অনেকে এর বিরুদ্ধে অনেক কথা বলে। কিন্তু বাস্তবতা হলো এটা একান্তভাবে প্রয়োজন এই কারণে, এখন আগের মতো আর মল্লযুদ্ধতো হয় না, এটাও বোতাম টিপে হয়। আর এখন তো ডিজিটাল পদ্ধতিতে হচ্ছে। যুদ্ধ ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে, ক্রাইমগুলোও এ পদ্ধতিতে হয়ে যায়। অনলাইনেও ট্রেনিং দেওয়া হয়, কিভাবে বোমা বানাবে, কিভাবে মানুষ খুন করবে, সেগুলো শেখানো হয়। তাই সন্ত্রাসবিরোধী ব্যবস্থা নিয়েছি। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দ্রুত বিচার সম্পন্ন হলে যারা সন্ত্রাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে তারা আর হবে না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মোট সংখ্যা ১০১টি। এছাড়া ৭টা মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল ও স্থাপন করা হয়েছে, এ বিচারগুলো যত দ্রুত হবে, রায়গুলো যত তাড়াতাড়ি কার্যকর হবে। ফলে এসব অপরাধ কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য আরও দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আইনসচিব গোলাম সারওয়ার, জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এএইচএম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬,২০২২
ইএস/এমইউএম/এএটি