ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ 

ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ)  মোহাম্মদ ফারুককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনার ভিডিও অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

অবিলম্বে বিটিআরসিকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

ওই ঘটনায় তলবে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদকসহ তিন আইনজীবী হাজিরের পর মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে তিন আইনজীবীর পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা, আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক প্রমুখ।

পরে আইনজীবী আবদুন নূর দুলাল জানান, আদালতের আদেশ মোতাবেক তিন আইনজীবী হাজির হয়েছেন। তাদের পক্ষে ব্যাখ্যা ও বিষয়টির একটি সুন্দর সমাধানের জন্য দুই মাস সময় চেয়েছি। আদালত আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন রেখেছেন। ওইদিন তিন আইনজীবী হাজির হতে হবে।

আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা এই ঘটনার ভিডিও অপসারণ করতে বিটিআরসিকে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তিন আইনজীবী হলেন- সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী ও অ্যাডভোকেট জুবায়ের ইসলাম।

গত ২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবরে ‘এজলাসে আদালতের বিচারক ও কর্মচারীগণকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের জন্য আদালত অবমাননার ব্যবস্থা গ্রহণের প্রার্থনা’ শীর্ষক একটি চিঠি পাঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক।  

এ চিঠি প্রধান বিচারপতি বরাবরে উপস্থাপন করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল। পরে বিষয়টি নিষ্পিত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।

সে অনুসারে এই বেঞ্চে নথি উপস্থাপন করা হয়। এরপর ৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করে ১৭ জানুয়ারি তিন আইনজীবীকে তলব করেন।

এরপর গত ৫ ও ৮ জানুয়ারি এজলাস চলাকালে কয়েকজন আইনজীবী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ শারমিন নিগারের বিরুদ্ধে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেন। এতে বিচারকাজ বিঘ্নিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিকার চেয়ে জেলা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর গতকাল একটি চিঠি পাঠানো হয়।

এরপর বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল। প্রধান বিচারপতি বিষয়টি বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সে অনুসারে বিষয়টি ১০ জানুয়ারি আদালতে ওঠে।

শুনানির পর জেলার আরও ২১ আইনজীবীকে ২৩ জানুয়ারি তলব করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
ইএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।