ঢাকা: আমদানি-রফতানি ব্যবসায়ের আড়ালে মাদক কারবার করে রাজধানীতে পাঁচটি বাড়িসহ বিপুল সম্পদের মালিক বনে যাওয়া নুরুল ইসলামের তিনটি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এদিন সিআইডির পরিদর্শক মনিরুজ্জামান অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুটি বেসরকারি ব্যাংকের শ্যামলী শাখায় তার ও প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা তিন ব্যাংক হিসাব জব্দের আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ২০২১ সালে মাদক ও জাল টাকার মামলায় নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। পরে র্যাব তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অনুসন্ধানের জন্য সিআইডিকে চিঠি দেয়। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ মাস অনুসন্ধান করে সিআইডি ঢাকার মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকায় নুরুলের পাঁচটি বাড়িসহ ১৩ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পায়।
অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, ২০০৯ সালের আয়কর বিবরণীতে তার কোনো স্থাবর সম্পত্তি ছিল না। অস্থাবর সম্পত্তি ছিল সাড় আট লাখ টাকার। ১১ বছর পর তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি মিলে নয় কোটি ৯৪ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩১ টাকা দেখানো হয়েছে। আর ২০২১ সালে তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার সম্পদ দেখানো হয়েছে তিন কোটি ৫১ লাখ ৩৬ হাজার ৫১ টাকা।
২০০১ সালে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ শুরু করলেও ২০০৯ সালে তা ছেড়ে দেন নুরুল ইসলাম। এরপর থেকে ১৪ বছরে মোহাম্মদপুর ও আদাবরে পাঁচটি বাড়ির মালিক হয়েছেন।
মূলত ইয়াবা ব্যবসায়ের টাকা বৈধ করতেই আমদানি-রফতানি ব্যবসায়ের নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান খোলেন। নুরুল ও তার স্ত্রীর নামে মোট ১১টি ব্যাংক হিসাব থাকার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ওই সব হিসাবে গত এক যুগে ১৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
ইতোমধ্যে মাদক ও জাল টাকার মামলায় নুরুল ইসলাম জামিন পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
কেআই/এসআইএ