ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

প্রথম কার্যদিবসেও আদালতে ছুটির আমেজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৩
প্রথম কার্যদিবসেও আদালতে ছুটির আমেজ

ঢাকা: পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির পর আজ সোমবার (২৪ এপ্রিল) থেকে খুলেছে অফিস-আদালত। আজ ছিল প্রথম কার্যদিবস।

কিন্তু ঢাকার আদালতে আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম। অনেকটা ঈদের আমেজ দেখা গেছে সেখানে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দৈনন্দিন অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। বিচারকার্য শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায়। কিন্তু জানা গেছে, অনেক আদালতের বিচারকরা কাটিয়ে কর্মস্থলে যোগ দেননি। মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফৌজদারি বিবিধ মামলা পুরো দমে শুনানি হলেও নিয়মিত বিচারকার্য ছিল তুলনামূলক কম। এদিন মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান ছুটিতে থাকায় অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়দা হাফছা ঝুমা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, প্রথম দিন ফৌজদারি বিবিধ (সিআর মিস) মামলায় ৭০টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে। এছাড়া প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালতে নিষ্পত্তি হয় আরও ৩২টি সিআর মিস মামলা।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া এদিন বিচারকার্যে অংশ নেন। তবে এদিন খুব বেশি মামলায় আইনজীবীরা শুনানিতে অংশ নেননি। জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমাদ্দার জানান, এদিন বেশিরভাগ মামলাতেই আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন। স্বল্পসংখ্যক মামলার শুনানি হয়েছে।

অন্যান্য ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালতেও একই চিত্র দেখা যায়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, বিশেষ জজ আদালতসহ অন্যান্য আদালত ও ট্রাইব্যুনালেও ছিল একই চিত্র। ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বলেন, আমাদের আদালতের বিচারক আজ ছুটিতে থাকায় বিচারকার্যে অংশ নেননি।

ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অবস্থাও ছিল প্রায় একইরকম। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অনেক বিচারকই এদিন ছুটিতে ছিলেন। যাদের মামলা শুনানির জন্য ছিল, তারা বেশিরভাগই এদিন সময় নিয়েছেন।

বেশিরভাগ আইনজীবী এদিন অনুপস্থিত থাকলেও জরুরি কাজে অনেকে এসেছিলেন আদালতে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মামলার শুনানি হয়নি। আইনজীবী আতিক পারভেজ বলেন, মক্কেলসহ এদিন আদালতে আসি। তবে প্রতিপক্ষের আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় এদিন সাক্ষী উপস্থিত থাকলেও সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।

আইনজীবী প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস জানান, ঢাকার দ্বিতীয় নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে একটি মামলার শুনানি ছিল। অভিযুক্ত পক্ষে আমরা হাজিরা দেই। তবে বিচারক ছুটিতে থাকায় অন্য আসামি পক্ষে শুনানি ছাড়াই সময়ের আবেদন মঞ্জুর হয়।

প্রথম কার্যদিবসে ছুটির ভাব থাকলেও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে আরও দুই-একদিন সময় লাগবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, রোজা ও ঈদ কাটিয়ে বিচারক, আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীদের পদচারণায় আদালত অঙ্গন মুখরিত হতে এই সপ্তাহ সময় লাগবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৩
কেআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।