লক্ষ্মীপুর: নাম বদলে ১৫ বছর আত্মগোপনে ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. জুয়েল হাওলাদার (৩৯)। কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হলো না, ধরা পড়তে হলো র্যাবের হাতে।
বুধবার (১০ মে) ভোরে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল হাওলাদার লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানাধীন সেবাগ্রাম এলাকার মৃত ওমর ফারুকের ছেলে।
র্যাব জানায়, হত্যার পর পরই আসামি গ্রেপ্তার এড়াতে ঢাকার আশুলিয়ায় গিয়ে গাঁ ঢাকা দেন। সেখানে মজিবুর রহমান পরিচয়ে প্রথমে একটি মুদি দোকানে দুই বছর চাকরি করেন। পরে একেএস গার্মেন্টস নামে একটি কারখানায় চাকরি নেন। ভুয়া পরিচয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর পলাতক ছিলেন তিনি।
র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বুধবার (১০ মে) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের ২৩ জুন প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা জবিউল হকের মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করেন জুয়েলসহ কয়েকজন। আহত অবস্থায় জবিউলকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিলে তিনি তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভিকটিম মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা জবিউল হকের ভাই নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে রামগতি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২১ মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেন। অভিযোগপত্রে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আলাউদ্দিনসহ আবদুল্লাহ, মাহবুব, স্বপন, জুয়েল ও মাকসুদ হাওলাদারকে অভিযুক্ত
করা হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলাটির রায় হয়। লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আজিজুল হক
মামলার ৫ নম্বর আসামি মো. জুয়েল হাওলাদারের মৃত্যুদণ্ড দেন। ৩ নম্বর আসামি মাহবুব ওরফে মাফুকে (৩৭) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এসময় আরও চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। ঘটনার পর হতে আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপন করেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে র্যাব-১১। র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জুয়েলের অবস্থান নিশ্চিত হয়। পরে সেখানে অভিযান চালায়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে রামগতি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
এসআই