ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আড়িয়াল বিলের ২০১০ ও ২০২২ সালের স্যাটেলাইট ম্যাপ দাখিলের নির্দেশ 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৩
আড়িয়াল বিলের ২০১০ ও ২০২২ সালের স্যাটেলাইট ম্যাপ দাখিলের নির্দেশ 

ঢাকা: মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় অবস্থিত আড়িয়াল বিলের ২০১০ ও ২০২২ সালের প্রকৃত স্যাটেলাইট এরিয়াল ম্যাপ দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৬ আগস্ট) পূর্ত সচিব, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ চার বিবাদির প্রতি এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে আড়িয়াল বিলে যাতে কেউ মাটি ভরাট, নির্মাণ ও দখল কার্যক্রম করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটে আবেদনের প্রাথমিক শুনানির শেষে বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, শ্রীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালককে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে এ আদেশ নিশ্চিত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

রুলে আড়িয়াল বিল সংরক্ষণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না এবং আড়িয়াল বিলে অবৈধ দখল, ভরাট, স্থাপনা অপসারণ ও বিলটি সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, গণপূর্ত সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক চেয়ারম্যান, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট), মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, শ্রীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা -ইউএনও ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -ওসিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ২২ জুলাইি একটি ইংরেজি দৈনিকে ‘আড়িয়াল বিল আন্ডার থ্রেট’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ১৩ আগস্ট রিট করা হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

শুনানিতে মনজিল মোরসেদ বলেন, ঢাকা শহরের বন্যা প্রতিরোধে অন্যতম ভূমিকা রাখে আড়িয়াল বিল। জলাশয় সংরক্ষণ আইন -২০০০, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫, পানি আইন-২০১৩ এর বিধান অনুসারে জলাশয় ভরাট শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তিনি বলেন, ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে জলাধার আইনের ৮ ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। তাদের নিষ্ক্রিয়তায় দিনে দিনে জনগুরুত্বপূর্ণ এ জলাভূমিটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৩
ইএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।