ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নওগাঁয় শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৩
নওগাঁয় শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

নওগাঁ: নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের মামলায় আব্দুস সালাম (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

এসময় একই আদালত সদর উপজেলার ১২ বছরের এক মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণের দায়ে সুমন হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দুই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুস সালামের বাড়ি জেলার ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর গ্রামে। আর সুমন হোসেন সদর উপজেলার চকচাপাই গ্ৰামের আমিনুল ইসলামের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ জুন জেলার ধামইরহাট উপজেলার আট বছরের একটি শিশুকে ঈদের দিন দুপুরে রুটি ও সেমাই খাওয়ানোর কথা বলে নিজের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন আব্দুস সালাম। এরপর ওই শিশুর বাবা ধামইরহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২২ সালে ৫ জুলাই থেকে চলতি বছরের ১৪ জুন পর্যন্ত মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।

অন্যদিকে ২০২২ সালের ১৩ আগস্ট সদর উপজেলার ডাসনগর মলংশাহ দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসার এক ছাত্রীকে অটোরিকশায় করে অপহরণ করে নিয়ে যান সুমন। পরে ওই ছাত্রীর বড় ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার ভাইয়ের জিম্মায় দিয়ে দেয়। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালতে আটজনের সাক্ষ্য নেন। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।