ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে শিশু রানা হত্যা মামলায় ১২ বছর পরে রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে হত্যায় সহযোগিতা করায় প্রতিবেশী মন্টু খাঁ (৫৮) ও তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে (৪৪) ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ রায় দেন ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মাসুদুর রহমান। এসময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত দম্পতির বাড়ি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার হাইলাকাঠি গ্রামে।
২০১০ সালের ২১ মার্চ হাইলাকাঠি গ্রামের সিদ্দিক হাওলাদারের ছেলে রানা (৮) ও মন্টুর ছেলে মিরাজসহ (৮) সমবয়সী কয়েকজন একই গ্রামের ফেলু পাটিকরের বাড়িতে টিভি দেখছিল। এসময় মিরাজ ও রানাসহ অন্য শিশুরা দুষ্টুমি করায় বাড়ির মালিক বিরক্ত হয়ে টিভি বন্ধ করে শিশুদের বের করে দেন। এ নিয়ে মিরাজ ও রানার মধ্যে ঝগড়া হয়। এসময় মন্টু ও তার স্ত্রী রানাকে ধরে রাখেন আর রানার পেটে কাঁচি ঢুকিয়ে দেয় উত্তেজিত মিরাজ। এ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নয়দিন পর ২০১০ সালের ৩০ মার্চ রানার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রানার বাবা বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ২২ জুন আসামিদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মিরাজের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্যাইব্যুনালে মামলা হলেও শিশু হওয়ায় আদালত মিরাজকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। আর তার বাবা-মার নামে মামলা চলছিল। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
সরকারের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান। আসামি পক্ষে ছিলেন মুসিকুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
এসআই