মাদারীপুর: মাদারীপুরে ২০১৪ সালে বোররহান মাতুব্বর নামে এক মোটরসাইকেল চালককে হত্যার দায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ লাইতুল ফেরদৌস এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের পাঁচখোলা গ্রামের আউয়ালী বেপারীর ছেলে সজীব বেপারী (২৭) ও একই গ্রামের আব্দুল খানের ছেলে মিঠুন খান (৩১)। তারা দুজনই মামলা চলাকালে জামিন নিয়ে আত্মগোপন করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি গ্রামের রবিউল মাতুব্বরের ছেলে বোরহান মাতুব্বর (১৮) ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন ১ জানুয়ারি বোরহানের পরিবার সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
এদিকে ২ জানুয়ারি বোরহানের মোটরসাইকেলটিসহ সজীব বেপারী ও মিঠুন খানকে সাতক্ষীরা জেলার তালা থানায় আটক করা হয়।
তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি মাদারীপুরের কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে বোরহানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই সজীব বেপারী ও মিঠুন খানকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা।
তদন্ত শেষে সজীব, মিঠুন ছাড়াও লাভলু গাজী নামে আরও একজনকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে ওই বছরের ১০ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেন সদর থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বারেক করিম খান। মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সজীব ও মিঠুনকে সাজা দেন আদালত। আর অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় লাভলু গাজীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায়ের পর মামলার বাদী নিহতের বাবা রবিউল মাতুব্বর বলেন, আমার ছেলেকে যারা নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসির আদেশ দেওয়ায় আমি আনন্দিত। তবে রায়টি যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়।
মাদারীপুর দায়রা ও জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, আসামিরা মাত্র এক লাখ টাকার একটি মোটরসাইকেলের জন্য একজন গরিব বাবার সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এটা সমাজের জন্য খুবই খারাপ ও নির্মম ঘটনা। দুজনকেই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এতে আমরা খুশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
এসআই