ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘আমি চোর না ডাকাত’ বলে আদালতে কাঁদলেন এ্যানি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
‘আমি চোর না ডাকাত’ বলে আদালতে কাঁদলেন এ্যানি

ঢাকা: পুলিশের কাজে বাধাদান ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ধানমন্ডি মডেল থানার মামলায় রিমান্ড শুনানিকালে আদালতে কান্না করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।  

পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি প্রশ্ন করেন, আমি চোর না ডাকাত?

বুধবার (১১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলম তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


 
রিমান্ড শুনানির এক পর্যায়ে এ্যানি কিছু বলবেন কিনা বিচারক জানতে চান। এ সময় তিনি বিচারকের সামনে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি রাজনীতি করি। কোনো অপরাধ করলে গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু আমাকে থানায় নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা কোন যুগে বসবাস করছি। আমি কি চোর, না ডাকাত। আমি বিচার চাই।  

এর আগে এ্যানিকে আদালতে হাজির করে ধানমন্ডি মডেল থানার মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিদী হাসান।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মঙ্গলবার গভীর রাতে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন।

থানায় যাওয়ার আগে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বাসা থেকে মোবাইল ফোনে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘পুলিশ দরজায় লাথি মারছে, হুমকি দিচ্ছে, দরজা না খুললে দরজা ভেঙে ঢুকে আমাকে গুলি করবে। আমি সব মামলায় জামিনে আছি বর্তমানে, তারপরও তারা বেআইনিভাবে আমাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। ’

এরপর তাকে চলতি বছরের ২৩ মে ধানমন্ডি সিটি কলেজের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
 
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের প্রায় ১০/১৫ হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়ে পদযাত্রার সমাপনী বক্তব্য শেষে চলে যাওয়ার প্রাক্কালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল ও ককটেল ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রসহ পুলিশের সরকারি কাজে বাধাদান, পুলিশের ওপর আক্রমণ, সরকারকে উৎখাত ও জনসাধারণের জানমালের ক্ষতিসাধন, গণপরিবহন ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর হামলা করে এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এতে পুলিশ অফিসার ও ফোর্স গুরুতর আহত হয়। পরে সরকারি সম্পত্তি রক্ষা, জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য আসামিদের ধাওয়া করলে তারা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্নভাবে ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
কেআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।