ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

লক্ষ্মীপুরে আ.লীগ নেতা হত্যার দায়ে ৯ জনের যাবজ্জীবন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে আ.লীগ নেতা হত্যার দায়ে ৯ জনের যাবজ্জীবন 

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যার দায়ে নয় আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।  

এদিকে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলার চারজন আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। রায়ের সময় কোনো আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না, তারা সবাই পলাতক।  

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মো. আবু তাহরের ছেলে মো. মিরাজ (৩৩), একই উপজেলার কোয়ারিয়া গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে আলাউদ্দিন ওরফে আলো (২৮), লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মো. রহমত উল্যার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০), দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মিলন ওরফে মিলা (৪০), আবু বক্কর ছিদ্দিকির ছেলে মো. তুহিন (৩৮), মৃত বশির উল্যার ছেলে কাউছার ওরফে ছোট কাউছার (৩০), আবু তাহেরের ছেলে আউয়াল (৩৪), আমানী লক্ষ্মীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মো. জাকের (৪০) ও ধন্যপুর গ্রামের রিয়াজ ওরফে চিতা (২৮)।  

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- সুমন (৩৩), সুজন (৩৩), মিলন (৩৩) ও সজীব। এজাহারভূক্ত আরেক আসামি মো. রাজু মামলা চলাকালে মারা যান।  

দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই চন্দ্রগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত জিসান বাহিনীর সদস্য ও যুবদলের নেতাকর্মী।  

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

আদালত সূত্র জানায়, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের বাসিন্দা ওমর ফারুক এলাকায় সন্ত্রাস নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। এ নিয়ে চন্দ্রগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়। ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর জিসান বাহিনীর সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে সন্ত্রাসী জিসান র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।  

২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট চন্দ্রগঞ্জ থানার নবনির্বাচিত ভবন উদ্বোধনের দিন ওমর ফারুক সন্ত্রাস বিরোধী বক্তব্য দেন। এতে জিসান বাহিনীর সদস্যরা তাকে টার্গেট করেন। ১ সেপ্টেম্বর সকালে ওমর ফারুক বাড়ির পাশে মোস্তফার দোকানে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর ভিকটিম ওমর ফারুকের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও সাত-আটজনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম হক্কানী  মামলার তদন্ত শেষে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন।

তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার নয় আসামিকে সাজা এবং চারজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত৷ 

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।