ঢাকা: ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগে হওয়া মামলায় রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাত শিক্ষকসহ নয়জনকে হাজির হতে সমন জারি করেছেন আদালত। এ মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে সোমবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী এ আদেশ দেন।
সমন জারি হওয়া এসব ব্যক্তিরা হলেন—শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আ ন ম সামসুল আলম, সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা শাখা) মো. নাসির উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক ফয়সাল শামীম, মো. আতিক, ফেরদৌসী সুমী, তরিকুল আজম খান, প্রিতীষ বিশ্বাস, সিকিউরিটি গার্ড জিয়াউল হক জিয়া ও মাসুদ রানা।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আলাউদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক গভর্নিং বডির সদস্য শফিকুর রহমান বাদী হয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, মামলার বাদী শফিকুর রহমান উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক শাখায় ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গভর্নিং বডির নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তার ছেলে তাইফুর রহমান (নাহিয়ান) ২০২২ সালে এ স্কুলের নবম শ্রেণি মানবিক (দিবা) শাখার ছাত্র । গভর্নিং বডির অভিভাবক প্রতিনিধি থাকার সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বাংলা মাধ্যম দিবা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিনের সাময়িক বরখাস্ত এবং কুকীর্তির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন হলে সে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বাদী। এ সময় নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল হোসেনের বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি।
সেই থেকে আসামিরা বাদী ও তার সন্তানের প্রতি বিরূপ আচরণসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। কারণে-অকারণে ক্লাসে দাঁড় করিয়ে রাখা এবং অপমানজনক কথা বলাসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সামনে হেয় করে এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এক পর্যায়ে নাহিয়ান শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
কেআই/জেএইচ