রাজশাহী: অনলাইনে লুঙ্গি কিনেছিলেন যশোরের আমজাদ হোসেন কিরণ নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু টাকা শোধ করেননি।
তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছিল তার নামে। সেই মামলায় তাকে আজ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে নগদ ১০ লাখ টাকা। জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। পৃথক দুইটি ধারায় তাকে এই কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন, আদালতের বিচারক।
দণ্ডপ্রাপ্ত আমজাদ হোসেন কিরণ (৪৪) যশোরের ঘোষপাড়া বিবি রোডের অধিবাসী।
রায়ের পর বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) অ্যাডভোকেট ইসমত আরা বেগম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মামলার বাদী বুলবুল হোসেনের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায়। বুলবুল একজন লুঙ্গির ব্যবসায়ী। তিনি অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও লুঙ্গির ব্যবসা করেন। ফেসবুকে তার মার্কেটিং পেজ রয়েছে। ওই পেজের মাধ্যমে তিনি লুঙ্গির অর্ডার নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে থাকেন।
এরই সূত্র ধরে ২০২০ সালের মে মাসে আসামি আমজাদ হোসেন কিরণ ফেসবুকের মাধ্যমে বুলবুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। লুঙ্গি পছন্দ করেন এবং কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাইকারি হিসেবে মোট তিন লাখ ৩২ হাজার ২৮২ টাকার লুঙ্গি কেনেন। কিন্তু তিনি লুঙ্গির চালান বুঝে পাওয়ার পর মূল্য পরিশোধ না করে বুলবুলের সঙ্গে প্রতারণা করেন।
এই ঘটনায় ওই বছরের ২৪ জুলাই সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কিরণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রমাণাদি দিয়ে মামলা করেন। এরপর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার কর। পরে তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
আদালতে বিচার চলাকালে আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। যে কারণে আদালত তাকে পৃথক দুটি ধারায় এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন।
জরিমানার মোট ১০ লাখ টাকা পরিশোধ না করলে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তবে দুইটি ধারায় মোট দুই বছরের সাজা দেওয়া হলেও কারাদণ্ড চলবে একসঙ্গেই। তাই মোট ১ বছর সাজা খাটতে হবে অভিযুক্ত কিরণকে। এছাড়া গ্রেপ্তারের পর হাজতবাস মূল কারাদণ্ড থেকে বাদ যাবে বলেও রায়ে উল্লেখ করেছেন, আদালতের বিচারক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৩
এসএস/এসএএইচ/জেএইচ