ঢাকা: গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ১২ (৩) ধারা অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট কার্যতালিকা থকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত জানান, দুই দিন আগে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের একটি বিধান (সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার তিন বছর পর সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিধান) নিয়ে এই বেঞ্চ রায় দেন। একই আইনের অন্য একটি বিধান নিয়ে করা রিটটি শুনবেন না মর্মে জানিয়ে আদালত কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ইউসুফ আলী বলেন, এখতিয়ারসম্পন্ন হাইকোর্টের অন্য রিট বেঞ্চে শিগগিরই এটি উপস্থাপন করা হবে।
জনস্বার্থে মঙ্গলবার এ রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রায়হান কাউসার।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ১২ (৩) ধারার ভাষ্যমতে, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিল করতে হবে। তবে যেসব স্বতন্ত্র প্রার্থী অতীতে সংসদ সদস্য ছিলেন তাদের ক্ষেত্রে তালিকা দাখিলের প্রয়োজন নেই।
রিট করার পরে আইনজীবী ইউসুফ আলী বলেন, আরপিও অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনের স্বপক্ষে দলিলাদি দাখিলের যে বিধান আছে, সেটা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছি। ভোটারের রাইটস হলো সিক্রেট ব্যালট। এখন এ বিধি অনুসারে সিক্রেট ব্যালটকে ওপেন সিক্রেট বানিয়ে দিচ্ছে। বিধান অনুসারে এক শতাংশ ভোটার যদি ওপেনলি একজন প্রার্থীর বরাবরে সাবমিট করে তাহলে তো এটা আর সিক্রেট ব্যালট থাকল না। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩
ইএস/এমজেএফ