ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

অরিত্রীর আত্মহত্যা: দুই শিক্ষিকার রায় পিছিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৪
অরিত্রীর আত্মহত্যা: দুই শিক্ষিকার রায় পিছিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি

ঢাকা: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় প্রতিষ্ঠানটির দুই শিক্ষিকার মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়েছে।  

রোববার (২১ জানুয়ারি) ঢাকার ১২তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল।

তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত।  

এই মামলার আসামিরা হলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার।  

অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ৩০৬ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

এর আগে ২৭ নভেম্বর এই মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন বিচার শুরুর আদেশ দেন। সেই আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলেও পরে মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২-তে বদলি করা হয়। সেই আদালতেই বিচারকাজ শেষ হয়। মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

২০১৮ সালে ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় শিক্ষার্থী অরিত্রী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকারুননিসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।

ঘটনার পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণী-শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর দুই শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে তারা জামিনে মুক্তি পান।

মামলার এজাহারে অরিত্রীর আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়। ৩ ডিসেম্বর স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রী মোবাইলফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এজাহারে অরিত্রীর বাবা আরও উল্লেখ করেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এ অপমান এবং পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

২০১৯ সালের ২০ মার্চ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৪
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।