কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় এসএম ইমরান নাজির (১৬) নামে এক এসএসসি পরিক্ষার্থী খুনের মামলায় ইমন ওরফে ঝুনু (২৪) নামে এক কিশোর গ্যাং লিডারকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে জরিমানাও করা হয়েছে।
আসামির উপস্থিতিতে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় কুষ্টিয়া (জেলা ও দায়রা জজ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিশু আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট কাজী সাইফুদ্দিন বাপ্পী।
সাজাপ্রাপ্ত ইমন সদর উপজেলার জগতি গবরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাহাদত হোসেনের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এবং বিষয়টি স্কুলের শিক্ষকদের বলে দেওয়ায় ২০১৫ সালের ২ মার্চ বিকেলে ইমনের নেতৃত্বে, আসফিম, আরসিল, শাকিল ও সোহাগ দলবদ্ধভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইমরানকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তখন হামলাকারী সবার বয়স ১৬ বছর ছিল।
পরে ওই দিনই ইমরানের মৃত্যু হয়। এর পরদিন নিহত স্কুলছাত্র ইমরানের বাবা সদর উপজেলার জগতি ৩ নম্বর কলোনির বাসিন্দা হিটু সেখ বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় কিশোর গ্যাংয়ের নেতা ইমনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও তিন/চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি কুষ্টিয়া মডেল থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক মো. ওবাইদুর রহমান ছয়জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বিশেষ শিশু আদালতের অতিরিক্ত কৌসুলি অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন বাপ্পী জানান, স্কুল ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার বিষয়টি শিক্ষকদের বলে দেওয়ার জের ধরে ইমরানকে হত্যা করা হয়। ঘটনার সময় আসামিরা কিশোর বয়সী হওয়ায় তাদের বিচার কার্যক্রম শিশু আদালতে সম্পন্ন হয়েছে। এ মামলায় শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ইমনকে শিশু আদালতের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি আসামিদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
এসআই