ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ওসি সেজে ৭৭১ নারীর সঙ্গে চ্যাট, আসামি আনোয়ার রিমান্ডে  

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
ওসি সেজে ৭৭১ নারীর সঙ্গে চ্যাট, আসামি আনোয়ার রিমান্ডে  

ঢাকা: ঢাকার তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীনের নামে খোলা ফেসবুক অ্যাকাউন্টে চ্যাট করেছেন ৭৭১ নারীর সঙ্গে চ্যাটিংয়ের অভিযোগে হওয়া মামলায় আনোয়ার হোসেন (৩০) নামে এক আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

 

এদিন তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ। শুনানি শেষে বিচারক তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।  

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) গাইবান্ধা থেকে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। তিনি গাইবান্ধা সদর থানা এলাকার বাসিন্দা কাজ করেন স্থানীয় একটি প্রিন্টিং প্রেসে। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করলেও দক্ষতার কারণে এলাকায় পরিচিত ফেসবুক মাস্টার নামে। দিনে নিজের কাজে ব্যস্ত থাকলেও রাতভর বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, নায়ক, সরকারি চাকরিজীবীদের নাম-ছবি ব্যবহার করে খোলা ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চালাতেন প্রতারণা। আনোয়ারের প্রতারণার প্রধান টার্গেট ছিল মেয়েরা। বিষয়টি টের পেয়ে নিজে বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করেন ওসি মহসীন। পরে অবস্থান শনাক্ত করে শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন।

তিনি বলেন, গত সেপ্টেম্বরে আমার নাম-ছবি ব্যবহৃত একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আমার নজরে আসে। আমি নিজে যেসব পোস্ট করতাম, সেই অ্যাকাউন্টেও কপি করে একই পোস্ট করা হতো। পরে আমি এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।

সম্প্রতি কিছু নারী আমার সরকারি নম্বরে ফোন করে জানায়, আমি সারারাত চ্যাটিং করি কিন্তু দিনে কেন কথা বলি না? এক নারী একদিন অফিসে চলে আসে। বিব্রতকর পরিস্থিতির বিষয়টি টের পেয়ে সিনিয়র স্যারদের পরামর্শক্রমে আমি আইনি ব্যবস্থা নিই। তারপর প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক আনোয়ারকে শনাক্ত করে গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, শুধুমাত্র ওসি মহসীন পরিচয়ে ৭৭১ নারীর সঙ্গে চ্যাটিং করেছে আনোয়ার। বিষয়টি আমার ইউনিফর্মের জন্য এবং আমি ব্যক্তির জন্য মানহানিকর।  

তিনি আরও বলেন, অনেককে সে আর্থিক সহযোগিতার জন্য টেক্সট করেছে। নারীদের টার্গেট করে প্রথমে কথা বলেছে, তারপর বাজে উদ্দেশে নানা ধরনের আপত্তিকর কথাও বলেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
কেআই/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।