নরসিংদী: নরসিংদীর মনোহরদীতে দেবরকে হত্যার দায়ে ভাবিকে যাবজ্জীবন ও তার প্রেমিককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় এ মামলার দুই আসামি খালাস পেয়েছেন।
রোববার (১২ মে) দুপুরের দিকে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত শামীমা পারভীন এ রায় দেন।
নিহত বাবু মনোহরদী উপজেলার হাররদিয়া এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি হাতিরদিয়া বাজারে দর্জির কাজ করতেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার দক্ষিণ হাররদিয়া এলাকার খোকা মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৩) ও একই এলাকার শাহজালালের স্ত্রী শারমিন সুলতানা (২৩)।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর হারদিয়া এলাকার বকুল মিয়ার বাড়ির পাশের পাকা রাস্তা থেকে শাহপরাণ বাবুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় নিহতের মা মিনারা বেগম থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িত সোহেল, সাইফুল (২৩), মুরাদ (২০) ও শারমিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে সোহেল আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দেন। তিনি জানায়, শাহপরাণ বাবুর ভাই প্রবাসে থাকেন। এ সুযোগে তার ভাবি শারমিনের সঙ্গে সোহেলের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি শাহপরাণ জানতে পেরে ভাবিকে এসব কার্যকলাপ করতে নিষেধ করেন। এরই জের ধরে সোহেল ও শারমিন পরিকল্পনা করে ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর শাহপরাণের গলাকেটে হত্যা করে সড়কে মরদেহ ফেলে রেখে যান। দুজনই এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। পরে সোহেল হাইকোর্ট থেকে জামিনে বের হন।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এম এ এন অলিউল্লাহ ও অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শাজাহান মিয়া ও অ্যাডভোকেট রুজি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এম এ এন অলিউল্লাহ বলেন, ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া শেষে আদালত সোহেলকে সরাসরি গলাকেটে হত্যা করায় তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড আর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় শারমিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। আর নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মুরাদ ও সাইফুলকে খালাস দেওয়া হয়। বর্তমানে শারমিন কারাগারে থাকলেও সোহেল পলাতক রয়েছেন। আমরা এ মামলার রায়ে সন্তুষ্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
এসআরএস