বরগুনা: মোটরসাইকেল কিনতে স্ত্রীর কাছে যৌতুক না পেয়ে নির্যাতন করার অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলা স্বামী ও তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার(১২ জুন) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. রফিকুল ইসলাম অনুসন্ধান প্রতিবেদন পেয়ে ওই আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন - খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার চরকুশালা গ্রামের শরীফ মো. নজরুল ইসলামের ছেলে শরীফ আল আমিন ও তার আপন ভাই শরীফ আলমগীর হোসেন। শরীফ আল আমিন ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট পুলিশ বা এমআরটি পুলিশে কর্মরত।
জানা যায়, বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী গ্রামের ফারজানা স্বর্ণার সঙ্গে তিন মাস আগে পুলিশ শরীফ আল আমিনের বিয়ে হয়। মেয়েকে বিয়ে দিতে কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করে স্বর্ণার পরিবার। কয়েকদিন পর মোটরসাইকেল কেনার জন্য স্ত্রীর কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন আল আমিন। ২১ এপ্রিল স্বর্ণাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। স্বর্ণার মা দেড় লাখ টাকা জোগাড় করে জামাতা আল আমিনকে আসতে বলেন। আল আমিন তার ভাইকে নিয়ে ২৪ এপ্রিল বিকালে আমতলী তার শ্বশুর বাড়ি আসেন। ২৫ এপ্রিল দুপুরে খাবার পর জামাতার হাতে দেড় লাখ টাকা দিয়ে স্বর্ণার মা বলেন, বাবা আমার তো স্বামী নেই। আপাতত দেড় লাখ টাকা দিলাম। বাকি টাকা পরে দেব।
এ সময় আসামি শরীফ আল আমিন বলেন, যৌতুক দিতে না পারলে আমরা চলে যাচ্ছি। এমন সময় স্বর্ণা তার স্বামীর হাত ধরলে আল আমিন তার স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে দরজায় ফেলে দেয়। এতে স্বর্ণা মারাত্মক জখম হন। তাকে তার মা আমতলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভাইসহ শরীফ চলে যায়।
ভুক্তভোগী ফারজানা স্বর্ণা বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট দিলেও আমি তার সঙ্গে সংসার করতে চাই।
আসামিদের ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৪
এসএএইচ