ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর মন্ত্রিসভার সদস্যরা আর মন্ত্রিসভায় সদস্য হিসেবে থাকতে পারবেন না। তাদের আপনা আপনি পদত্যাগ হয়ে যাবেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদে এমন বিধান রয়েছে।
তুমুল ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন। তার পদত্যাগের পর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এরপর তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনার কথা জানিয়েছেন।
পরবর্তীতে সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতাদের বঙ্গবভনে সাক্ষাৎ করেছেন। সবাই দেশবাসীকে শান্ত থাকার কথা বলে একটি গ্রহণযোগ্য অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের কথা বলছেন।
আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও সরকার গঠনের একটি রুপ রেখা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপস্থাপন করবে বলে জানিয়েছে।
সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে বলা হয়েছে- (১) প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হবে, যদি- (ক) তিনি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন; অথবা (খ) তিনি সংসদ সদস্য না থাকেন।
(২) সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন হারালে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন কিংবা সংসদ ভাঙে দেওয়ার জন্য লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেবেন এবং তিনি অনুরূপ পরামর্শ দিলে রাষ্ট্রপতি, অন্য কোন সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন নহেন এই মর্মে সন্তুষ্ট হলে, সংসদ ভাঙে দেবেন।
(৩) প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকতে এই অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই অযোগ্য করবে না। মন্ত্রীদের মেয়াদের বিষয়ে সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,
(৪) প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বা স্বীয় পদে বহাল না থাকলে মন্ত্রীদের প্রত্যেকে পদত্যাগ করেছেন বলে গণ্য হবে; তবে এই পরিচ্ছেদের বিধানাবলি-সাপেক্ষে তাহাদের উত্তরাধিকারীরা কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাহারা স্ব স্ব পদে বহাল থাকবেন।
(৫) এই অনুচ্ছেদে 'মন্ত্রী' বলতে প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২৪
ইএস/এএটি