ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মী হত্যায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মী হত্যায় ৩ জনের যাবজ্জীবন আমিনুল ইসলাম খাঁন ও বিপুল খাঁন।

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে বহুল আলোচিত যুবলীগ কর্মী ফখরুল ইসলাম বুলেট হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে এ রায় দেন লালমনিরহাট আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদিব আলী।

 

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজিরচওড়া গ্রামের হায়দার খানের ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম খাঁন, একই গ্রামের মজিদুল ইসলাম ওরফে মজনু চোর ও ফজলে খাঁনের ছেলে বিপুল খাঁন। তারা তিনজনেই পলাতক রয়েছেন।  

মৃত যুবলীগ কর্মী ফখরুল ইসলাম বুলেট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর এলাকার স্কুল শিক্ষক এনামুল হকের ছেলে। তিনি সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য ছিলেন।  

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৫ সালের ২৭ জুন সন্ধ্যার পরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ কর্মী ফখরুল ইসলাম বুলেটকে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বাজারের খান মার্কেটের একটি দোকানে ডেকে নেন আমিনুল ইসলাম খাঁন। এ সময় তার হাত-পা বেঁধে পুরো শরীরে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় তারা।

স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় বুলেটকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় পরদিন ২৮ জুন বুলেটের বাবা এনামুল হক বাদী হয়ে সদর থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

সেই মামলায় গত ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই একজনকে অব্যাহতি দিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন সদর থানার ওসি তদন্ত প্রদীপ কুমার রায়। পরবর্তীকালে এ মামলার একজন আসামি মারা যান। বাকি নয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে মামলার শুনানি চলে। অবশেষে নয়জন আসামির তিনজনের উপস্থিতিতে বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদিব আলী।  

রায়ে বলা হয়, বুলেট হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্তরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিসহ গ্রেপ্তারের দিন থেকে সাজা গণনা করা হবে। এ মামলায় বাকি ছয়জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। যার মধ্যে তিনজন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরা হলেন- আব্দুল মালেক, একরামুল হক ও মিঠু।

লালমনিরহাট আদালত পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সাজাপ্রাপ্তদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সংশ্লিষ্ট থানায় এবং বেকসুর খালাস প্রাপ্তদের কাগজ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।