ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথায় কাসেম বেপারী নামে এক যুবক খুন হওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে লুটপাট ও চাঁদাবাজির অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া সেই পাঁচ আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে ফরিদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন।
একইদিন বিকেলে ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) দুলাল চন্দ্র সরকার তাদের জামিন নামঞ্জুরের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
জামিন না পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন- চাঁদাবাজির মূলহোতা হিসেবে অভিযোগ ওঠা পাটপাশা বালিয়া গ্রামের মৃত মমিন মাতুব্বরের ছেলে জাহিদ মাতুব্বর (৪৫), আড়ুয়াকান্দি গ্রামের মৃত হাসেম মাতুব্বরের ছেলে নুরুদ্দীন মাতুব্বর ওরফে নুরু মেম্বার (৬০), মেম্বারগট্টি গ্রামের মৃত রহমান মাতুব্বরের ছেলে ও সাবেক ইউপি মেম্বার রফিক মাতুব্বর (৫০), দোহারগট্টি এলাকার আওয়াল মাতুব্বরের ছেলে আকরাম মাতুব্বর (৩৫), ছোট বালিয়া গ্রামের মালেক শেখের ছেলে ফিরোজ শেখ (৩৫)।
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ৩ নম্বর আমলি আদালতে এই পাঁচ আসামির জন্য জামিন চাওয়া হলে সেখানে তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৪ অক্টোবর ফরিদপুরের সালথার গট্টি ইউনিয়নের জয়ঝাপের ইমামবাড়ী এলাকায় এক তরুণীকে উত্ত্যক্তের জের ধরে বখাটেদের চাকুর আঘাতে খুন হন কাসেম বেপারী (২৮) নামে এক যুবক। এ হত্যাকে পুঁজি করে স্থানীয় খায়রুল বাশার আজাদ নামের এক বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় উপজেলার বালিয়াগট্টি, দোহার গট্টি, বড় বালিয়া, ছোট বালিয়া, পাটপাশা, জয়ঝাপসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষকে হত্যা মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে ও ঘরবাড়ি লুটপাট এবং আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কোটি টাকার চাঁদাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। এছাড়া দোকান-পাট, ঘরবাড়ি লুটসহ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এরই ধারাবাহিকতা গত রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে জেলার সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি, মেম্বার গট্টিসহ আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তবে, অদৃশ্য কারণে এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে বিএনপি নেতা খায়রুল বাশার আজাদ।
সম্প্রতি এ ঘটনায় খায়রুল বাশার আজাদসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লুটপাট ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ২১ অক্টোবর সালথা থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামের ভুক্তভোগী ফরিদা বেগম নামে এক নারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
এসআরএস