ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

আইন ও আদালত

খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৫
খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু 

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের নামে নাইকো দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক সাহেদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।  

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে প্রথম দিনের মতো সাক্ষ্য দেন তিনি।

তবে এদিন তিনি জবানবন্দি দেন। তবে তা শেষ না হওয়ায় অবশিষ্ট জবানবন্দি ও জেরার জন্য আগামী ২৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ পর্যন্ত মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য দিয়েছেন।  

খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার পক্ষে এদিন আইনজীবী হাজিরা দেন।  

২০২৩ সালের ১৯ মার্চ এই মামলায় চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর মামলার চার্জগঠনের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। একই বছর ৩০ আগস্ট বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেন।  

এরপর ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী মাহবুবুল আলম তার জবানবন্দি শেষ করেন। এরপর ওই বছর ১৭ অক্টোবর তাকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এরপর ওই বছর ৩০ ও ৩১ অক্টোবর রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেন পুলিশের দুই সদস্য কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপ এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।  

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।

অপরদিকে আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার নামে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

দুদকের করা অপর দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকে পরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান।  

এরপর গত ৭ জানুয়ারি তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৫
কেআই/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।