ঢাকা: ২৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শুনানির সময় ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, তার মতো ব্যবসায়ীকে হয়রানি করলে বিভিন্ন স্থানে ভুল বার্তা যাবে।
গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিমানবন্দর থেকে দুদক পরিচালক আব্দুল মাজেদের নেতৃত্বে গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রিমান্ড শুনানিকালে আলমগীর বলেন, আমি একজন সিআইপি। আমার অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। আমি প্রতি মাসে ১০ হাজার লোককে ১৩ কোটি টাকা বেতন দিই। প্রতিবছর সরকারের কোষাগারে ৩০০ কোটি টাকা ট্যাক্স দিই। আমি ইঞ্জিনিয়ারদের গৌরব। আমি ক্রীড়াপ্রেমী লোক। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে আছি। আমার গ্রেপ্তারের কথা শুনে অনেক খেলোয়াড় এখানে এসেছে। আমার মতো একজন ব্যবসায়ীকে এ ধরনের মামলা দিয়ে হয়রানি করলে ভুল বার্তা যাবে।
এর আগে আদালতে ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যানের আসামিপক্ষের আইনজীবীর কাছে মামলার কাগজপত্র না থাকায় শুনানি পেছাতে আবেদন করেন তারা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রিমান্ড শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। সে অনুযায়ী আজ রিমান্ড শুনানির জন্য তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। আসামিপক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির বর্তমান সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলমসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন।
শুনানির একপর্যায়ে ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর আদালতে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। শুনানি শেষে বিচারক তার রিমান্ড নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। তবে তদন্তের স্বার্থে তাকে তদন্ত কর্মকর্তা জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন বলে আদালত আদেশে উল্লেখ করেন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আলমগীরের নামে এবং পারিবারিক ব্যয়সহ ৮১ কোটি ৩৯ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য রয়েছে। বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া গেছে ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭ টাকা। সেই হিসেবে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন প্রায় ২৭ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার ৯০৮ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি।
এর আগে গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের একটি অভিযোগ ২০২৩ সালে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
কেআই/এমজে