ঢাকা: সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি।
এক প্রজ্ঞাপনে এমন তথ্য জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।
জীবন বৃত্তান্ত
১৯৬০ সালে জন্ম নেওয়া এ বিচারপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন ১৯৮৩ সালের ২০ এপ্রিল মুন্সেফ (সহকারী জজ) হিসেবে বিচার বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন। বিভিন্ন পদে পদোন্নতি পেয়ে দায়িত্ব পালন করে আসা এ বিচারক ২০০০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জেলা জজ হন।
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান শাহেদ নূরউদ্দিন। দুই বছর পর তার নিয়োগ স্থায়ী করা হয়।
বিচার কাজ থেকে বিরত রাখা
গত বছরের ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর ১৬ অক্টোবর ‘দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর’ বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে। ওই বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখার কথা বলা হয়।
এরপর ২০ অক্টোবর থেকে তাদের বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়। এ ১২ জনের মধ্যে বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনও ছিলেন। এদিকে কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে অনুসন্ধান করছে বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল।
পদত্যাগ
এমন পরিস্থিতিতে ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানান, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের বিষয়ে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলে অনুসন্ধান চলছে। তিনি প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্র দিয়েছেন।
পদত্যাগপত্র গ্রহণ
৬ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে আইন মন্ত্রণালয় জানায়, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন কর্তৃক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৬(৮) অনুচ্ছেদ মতে রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে ৩০ জানুয়ারি স্বাক্ষরে দাখিলকৃত পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ হতে ভূতাপেক্ষভাবে গ্রহণ করেছেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫
ইএস/এসআই