ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘এআই ব্যবহারে নৈতিক ও আইনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হতে হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
‘এআই ব্যবহারে নৈতিক ও আইনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হতে হবে’ রেফাত আহমেদ

ঢাকা: প্রধান বিচারপতি ড.সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নৈতিক ও আইনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন করে প্রস্তুত হতে হবে।  

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল গভর্নমেন্ট সামিটের ২০২৫ ওয়ার্ল্ড রেগুলেটরি ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

অনুষ্ঠানে ড. বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন।  

অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত আরব আমিরাত মন্ত্রিসভার মিনিস্টার অব স্টেট ও সেক্রেটারি জেনারেল মরিয়াম আল হাম্মাদি। অধিবেশনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা, আইনজ্ঞ  ও বুদ্ধিজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।  

বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-এর চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার বিষয়ে এবং বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো তৈরিতে রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (RIA) এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে উল্লেখ করেন।

দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অভিযোজন সক্ষম আধুনিক আইনি কাঠামো তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আধুনিক বিশ্বে এআই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, অর্থনীতি এবং প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এআই এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নৈতিক ও আইনি চ্যালেঞ্জ রয়েছে যা মোকাবিলায় আমাদেরকে নতুন করে প্রস্তুত হতে হবে।  

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালনার ক্ষেত্রে নাগরিকের ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, এআই-এর প্রয়োগ বৈশ্বিকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম বিধায় এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে একটি সম্মিলিত নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রয়োজন। তাই তিনি এ বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারক ও নেতাদের সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।  

রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট প্রণয়নের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সময়ের আবর্তে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তা যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সে বিষয়ে বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান বিচারপতি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এআই কিংবা এরূপ অন্য কোনো আধুনিক প্রযুক্তির জটিলতা মোকাবিলায় এককভাবে কোনো নির্দিষ্ট দেশীয় আইনি কাঠামো যথেষ্ট নয়। এ প্রসঙ্গে তিনি সিভিল এবং কমন ল’ফ্রেমওয়ার্কের সমন্বয়ে অভিযোজন যোগ্য আধুনিক আইনি কাঠামো গঠনের জন্য বিশ্বের আইনজ্ঞ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের প্রতি  আহ্বান জানান।

প্রধান বিচারপতির আশা এআই-এর জন্য আধুনিক নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শুধু বর্তমান প্রজন্মের জন্য প্রয়োজনীয় নয়; বরং এরূপ নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ভবিষ্যৎ প্রজন্মেরও কল্যাণও নিশ্চিত করবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ডিজিটাল যুগের জটিলতা মোকাবিলা করে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সুবিধা গ্রহণ করতে পারলে ভবিষ্যতের বিচার ব্যবস্থাও আরও সুদৃঢ় হবে।  

এ জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, আইন বিশেষজ্ঞ এবং প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫ 
ইএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।