ঢাকা: বান্ধবী লায়লা আক্তার ফারহাদের (১৮) করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়েছেন টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন (২৫)।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম জামিন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এ মামলায় চার্জশিট দাখিল পর্যন্ত জামিনে ছিলেন আসামি প্রিন্স মামুন। গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ শাহজাহান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
এরপর মামলাটি বদলি হয়ে ট্রাইব্যুনালে আসে। আজ ট্রাইব্যুনালে চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানি ছিল। একইদিনে মামুন আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত চার্জশিট গ্রহণের পাশাপাশি তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২০২৪ সালের ৯ জুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা। পরদিন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১১ জুন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই বছরের ১ জুলাই ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে মামুন তাকে বিয়ে করবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে মামুন তাকে জানান, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন তাকে বিয়ে করবে বলে জানান, তাই লায়লা তাকে নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন।
এরপর ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। ওইদিন থেকে মামুন তার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করেন। মামুন তার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝে মধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতেন। মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। সেই সঙ্গে তাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫
কেআই/আরবি