ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের অধীনে বিচার বিভাগের জন্য একটি স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ফের তাগিদ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতির মতে, এটি (পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা) অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমকে টেকসই ও অর্থবহ করে তুলতে সক্ষম হবে।
সোমবার (১৭ মার্চ) বাংলাদেশ আইন সমিতি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইন সমিতির আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগগুলোর দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব অনেকাংশেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর নির্ভরশীল। একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ কেবল তখনই কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে যখন স্বতন্ত্র বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বতন্ত্রীকরণ নিশ্চিত হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আগামী দিনগুলো বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্তশাসন অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আইন সমিতি বিচার বিভাগ সংস্কারের লক্ষ্যে রোডম্যাপ (প্রধান বিচারপতি কর্তৃক ঘোষিত) বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২৭ অক্টোবর বিচার বিভাগের জন্য একটি পৃথক সচিবালয় গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাবনা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এর আগে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশ্যে অভিভাষণ দেন। এতে তিনি দেশের বিচার বিভাগের জন্য একটি রোডম্যাপ তুলে ধরেন, যাতে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বতন্ত্রীকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক পৃথকীকরণের বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়।
অভিভাষণে প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় স্থাপনের জন্য তিনি শিগগিরই পদক্ষেপ নেবেন। তারই ধারাবাহিকতায় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের মতামত গ্রহণপূর্বক বিচার বিভাগের জন্য একটি পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাবনা রোববার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৫
ইএস/এমজে