ঢাকা: রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী এবং তার স্ত্রী নিগার সুলতানা চৌধুরীর ২৮ বিঘা জমি জব্দ এবং ৬৮ ব্যাংক হিসাবের ৪ কোটি ১৭ লাখ ৯১ হাজার ৫৭৭ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের পৃথক ২ আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
সম্পদের মধ্যে রয়েছে, ওমর ফারুকের সাড়ে ১৫ বিঘা জমি ও ৫৭ ব্যাংক হিসাবের ৩ কোটি ১০ লাখ ৯৩ হাজার ১১০ টাকা এবং তার স্ত্রীর ১৩ বিঘা জমি ও ১১ ব্যাংক হিসাবের ৬০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৭৫ টাকা।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ দিন দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক জিন্নাতুল ইসলাম জব্দ ও অবরুদ্ধের আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটির মামলা কার্যালয়ে চলমান। প্রাথমিক তদন্তে বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে আছেন মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে বিপুল অর্থ পাচার করে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র অনুযায়ী অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে অসংখ্য ব্যাংক হিসাব ও তাতে অনেক সন্দেহজনব লেনদেন পাওয়া গিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে বর্তমানে এসব হিসাবে স্থিতির পরিমাণ সর্বমোট (৩ কোটি ৫৬ লাখ ৯৫ হাজার দুই ও তাঁর স্ত্রীর ৬০ লাখ ৯৬ হাজার পাঁচশত ৭৫ টাকা) এই অর্থ তারা উত্তোলনের করে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ ধরার অপরাধ মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে।
তদন্তকালে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যে স্থাবর/অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গিয়েছে, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ১০ ও ১৪ ধারা ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা ২০০৭ এর ১৮ ধারায় ক্রোক বা অবরুদ্ধ করা করা একান্ত আবশ্যক।
শুনানি শেষে বিচারক এসব সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৫
কেআই/এমজেএফ