ঢাকা, বুধবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২১ মে ২০২৫, ২৩ জিলকদ ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রাজনৈতিক সংগঠনের মতো বিবৃতি দিয়েছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:৩০, মে ২০, ২০২৫
‘জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রাজনৈতিক সংগঠনের মতো বিবৃতি দিয়েছে’

ঢাকা: ঢাকার একটি আদালতের এজলাসের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অধস্তন আদালতের বিচারকদের সংগঠন জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেই বিবৃতিকে রাজনৈতিক সংগঠনের মতো আক্রমণাত্মক দাবি করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা বার ইউনিটের আহ্বায়ক ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম।

মঙ্গলবার (২০ মে) সমিতির দ্বিতীয় তলার হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

বিবৃতি প্রসঙ্গে খোরশেদ আলম বলেন, আমরা আইনজীবীরা বার ও বেঞ্চের মাঝে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সচেষ্ট থেকেছি। তবে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রাজনৈতিক সংগঠনের মতো আক্রমণাত্মক বিবৃতি দিয়েছে। তারা কোনো ধরনের বিচার বিশ্লেষণ না করেই এবং আমাদেরকে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ না করে একতরফাভাবে বিবৃতি দিয়েছে। এটার কারণে আমাদের সম্পর্কে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে।  

এজলাসে ভিডিও ধারণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিচারককে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, যেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেটা পূর্ণাঙ্গ নয়। এখানে খণ্ডিতাংশ ভাইরাল করা হয়েছে। বিচারক নিজে বলেন আদালতে মোবাইল বন্ধ রাখতে হবে। অথচ তিনি সেটা ভঙ্গ করে এজলাসের ভিডিও করে তা ভাইরাল করেছেন। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এ ব্যাপারে ওই বিচারককে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে মাননীয় প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

খোরশেদ আলম অভিযোগ করে বলেন, জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে বিচার বিভাগে গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের জেল হাজতে রাখার সমস্ত নির্দেশনা প্রদানকারী বলে সর্বজন বিদিত। তার আপন ভাই যশোরের যুবলীগ নেতা এবং তার ভাই বৈষম্যবিরোধী মামলার এজাহারভূক্ত আসামি। তিনি বিচার বিভাগে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে অপচেষ্টা করছে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন জসিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৭ মে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি হানিফ মেম্বারকে জামিন না দেওয়ায় ঘটনায় আইনজীবীরা বিচারককে আওয়ামী লীগের দালাল বলে তকমা ও গালিগালাজ করেন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

কেআই/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।