৫০ টি অঙ্গরাজ্য নিয়ে গঠিত দেশটি। প্রায় প্রতিটি রাজ্যের রয়েছে নিজস্ব আইন, বিচার ব্যবস্থা ও সংস্কৃতি।
আর এমনই একটি দেশের আইন, আদালত, মানবাধিকার, বিচার ও পুলিশিং ব্যবস্থা নিয়ে লিখেছেন এ.এম. জিয়া হাবীব আহসান। তাঁর লিখিত ২৮৮ পৃষ্টার "মানবাধিকার ও মার্কিন বিচার ব্যবস্থা" নামক বইতে যুক্তরাষ্ট্রের এসব বিষয় নিয়ে তুলে ধরা হয়েছে পর্যায়ক্রমে যা লেখকের প্রকাশিত ৭ম গ্রন্থ।
পড়ার আগে শুধু শিরোনাম দেখে বইটিকে আইন ও বিচার সংক্রান্ত একটি বই বলে মনে হলেও বইটি মূলত লেখকের একটা ভ্রমণমূলক লেখা। বইতে তিনি ২০০৮ সালে একজন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আমন্ত্রণে “হিউম্যান রাইট্স এন্ড ইউএস জুডিশিয়াল সিস্টেম” শীর্ষক ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটরস লিডারশিপ প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করার সময় অর্জিত অভিজ্ঞতার সার-সংক্ষেপ তুলে ধরেছেন।
বইটিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান অঙ্গরাজ্যগুলোকে তাঁদের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যের অলোকে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রয়োজনীয় তত্য-উপাত্তসহ বিস্তারিত তুলে ধরেছেন সেখানকার রাষ্ট্র ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, নাগরিক জীবন, রাজনৈতিক জীবন, সমাজিক কাঠামো, শিক্ষা ব্যবস্থা, গবেষণা পদ্ধতি, ইসলাম ধর্মের বর্তমান অবস্থা, সেখানে মুসলিমদের অবদান, ৯/১১ এর পরবর্তী অবস্থা, আতিথেয়তা, মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়নে কর্মরত বিভিন্ন এন.জি.ও. ও সংস্থার ভূমিকা ইত্যাদি।
এতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভালো দিকগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি গঠনমূলক সমালোচনাও করেছেন।
এছাড়াও টুইন টাওয়ারের বর্তমান শূন্যস্থান, স্ট্যাচু অব লিবার্টি, নায়াগ্রা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও জলপ্রপাত, পৃথিবীর দীর্ঘতম ভাস্কর্য স্টোন মাউন্টেন অব জর্জিয়া, পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্টেন হুড এর বিবরণ দিয়েছেন যা বইটি পড়ার জন্য পাঠকদের আকৃষ্ট করতে পারে সহজে।
লেখার মাঝে প্রাসঙ্গিক ছবি ও ডকুমেন্টগুলো পাঠকদের বইটি পড়তে আরো আগ্রহী করে তুলবে নিঃসন্দেহে। মোটকথা বইটিতে পুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-র প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে সুনিপুণভাবে।
বইটি প্রকাশিত হয়েছে চন্দ্রালোক প্রকাশনী থেকে। পাওয়া যাবে ঢাকায় নিউ মার্কেটের বুক সিন্ডিকেট ও চট্টগ্রামে প্রেসক্লাবস্থ “বাতিঘর” এবং চট্টগ্রাম জেলা আদালতে। বইটির মূল্য ৩০০ টাকা।
বিচারক, আইনজীবী, আইনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গবেষকসহ উচ্চ শিক্ষার্থে যারা দেশটিতে যেতে আগ্রহী তাঁদের জন্য বইটি বিশেষ সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৫