ঢাকা: জাল-জালিয়াতি ও ভুয়া বন্ধক দিয়ে ইসলামী ব্যাংক থেকে ১২ কোটি ১৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক দুই কর্মকর্তাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া রাজশাহী, ফরিদপুর ও সাতক্ষীরা থেকে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (০৭ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ডেভেলপার কোম্পানি আরবান স্কাইলাইন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এম এ মান্নান, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ইনামুল হক ও ব্যাংটির বংশাল শাখার সাবেক ইনভেস্টমেন্ট ইনচার্জ (চাকরিচ্যুত) মো. শামছুদ্দিন।
দুদকের সহকারী পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজধানীর মিরপুর হাউজিং এস্টেট এলাকায় আলী হোসেনের দেড় কাঠা জমিতে ৬তলা ভবন নির্মাণের একটি চুক্তি করে আরবান স্কাইলাইন লিমিটেডনামে ডেভেলপার কোম্পানি। আসামি ডা. এম এ মান্নান পরস্পরের সঙ্গে যোগসাজশ করে জনৈক ব্যক্তিকে ভুয়া আলী হোসেন সাজিয়ে আলী হোসেনের স্বাক্ষর জাল করে দলিল করেন। এরপর ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বংশাল শাখায় ভুয়া বন্ধক প্রদান ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ১২ কোটি ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫৯১ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন।
এছাড়া অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রামীণ ব্যাংকের চাপাইনবাবগঞ্জের চুকিত্তি শাখার সেন্টার ইনচার্জ আবদুল কাইয়ুমকে রাজশাহী, ফরিদপুরের বটতলা নিউ প্রাইম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সেক্রেটারি শম্পা রাণী সাহাকে ফরিদপুর এবং সাতক্ষীরা শ্যামনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দুই সদস্য আজিজুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদকে শ্যামনগর থেকে গ্রেফতার করেছে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৬
টিএইচ/এএসআর