ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ৩ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত আদেশে বলেন, ওই শিক্ষককে কান ধরে ওঠ-বসের ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সম্পৃক্ততা নেই মর্মে পুলিশের প্রতিবেদনে প্রকৃত সত্য তুলে ধরা হয়নি। পুলিশের প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেন আদালত।
আদালতে স্ব-প্রণোদিত রুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
এর আগে গত ৮ আগস্ট শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে ওঠ-বসের ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সম্পৃক্ততা নেই মর্মে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।
পুলিশের প্রতিবেদনে ওই ঘটনার জন্য সুর্নিদিষ্টভাবে দায়ী করা হয়নি। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে সেদিন পিয়ার সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ে কান ধরে ওঠ-বস করানোর ঘটনা ছিল আকস্মিক। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান উভয়ই উদ্ভুত ঘটনার শিকার।
গত ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে বিদ্যালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ করে মারধর করা হলে তিনি আহত হন। পরে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে তাকে কান ধরে ওঠ-বস করানো হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৬
টিএইচ/জেডএস