ঢাকা: আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে সিটিসেলকে বাধা না দিতে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে বিটিআরসির পাওনা পরিশোধে দু’মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এর আগে ২২ আগস্ট বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ বিটিআরসির পক্ষ থেকে সিটিসেলকে দেওয়া শোকজ নোটিশের সময় পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
আদালতে বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। সিটিসেলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
২২ আগস্ট রেজা-ই-রাকিব বলেছিলেন, সিটিসেল বন্ধের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি আবেদন করা হয়। আদালত বিষয়টি নথিভুক্ত করে বিটিআরসির পক্ষ থেকে সিটিসেলকে দেওয়া শোকজ নোটিশের সময় পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
গত ১৭ আগস্ট এক মাসের শোকজ দিয়ে সিটিসেলকে চিঠি দেওয়া হয় বলে বাংলানিউজকে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহাজান মাহমুদ।
পৌনে ৫শ কোটি টাকা রাজস্ব বকেয়া থাকা সিটিসেল গ্রাহকদের প্রথমে ১৬ আগস্ট ও পরবর্তীতে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত বিকল্প সেবা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। ২৩ আগস্ট সিটিসেলের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অর্থাৎ, অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কথা ছিলো।
আদালতের নির্দেশের পর সিটিসেল বন্ধের বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বাংলানিউজকে বলেন, সিটিসেল বন্ধে সরকারের নির্দেশনা ছিলো ২৩ আগস্ট। এখন আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।
সিটিসেলের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সচিবালয়ে বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আদালত ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম ও রিম নিবন্ধনের পর সিটিসেলের গ্রাহক দেড়-দুই লাখে নেমে এসেছে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
বাংলাদেয় সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৬
ইএস/এএ