ঢাকা: রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।
আগামী ১৭ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন দিন ধার্য করেছেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামান।
গত ১৮ জুলাই ৪১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত। পলাতক থাকায় ওইদিন ৭ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। চার্জ গঠনের মাধ্যমে আলোচিত এ মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- ভবনটির মালিক সোহেল রানা, তার বাবা আব্দুল খালেক ওরফে কুলু খালেক ও মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার মেয়র আলহাজ রেফাত উল্লাহ, কাউন্সিলর মোহাম্মাদ আলী খান, প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাসেল, নিউওয়েব বাটন লিমিটেডের চেয়ারম্যান বজলুস সামাদ আদনান, নিউওয়েব স্টাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুর রহমান তাপস, ইথার টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান ওরফে আনিসুজ্জামান, আমিনুল ইসলাম, সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. সারোয়ার কামাল, আবু বক্কর সিদ্দিক, মো. মধু, অনিল দাস, মো. শাহ আলম ওরফে মিঠু, মো. আবুল হাসান, সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ ফারজানা ইসলাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সাবেক উপ-প্রধান পরিদর্শক মো. আব্দুস সামাদ, উপ-প্রধান পরিদর্শক মো. জামশেদুর রহমান, উপ-প্রধান পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন, পরিদর্শক প্রকৌশল মো. ইউসুফ আলী, মো. শহিদুল ইসলাম, ইমারত পরিদর্শক মো. আওলাদ হোসেন, ইথার টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস, মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, মনোয়ার হোসেন বিপ্লব, মো. আতাউর রহমান, মো. আব্দুস সালাম, বিদ্যুৎ মিয়া, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম জনি, রেজাউল ইসলাম, নান্টু কন্ট্রাক্টর, মো. আব্দুল হামিদ, আব্দুল মজিদ, মো. আমিনুল ইসলাম, নয়ন মিয়া, মো. ইউসুফ আলী, তসলিম ও মাহবুবুল আলম।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে নয়তলা ভবন রানা প্লাজা ধসে পড়লে ১ হাজার ১৩৬ জন মারা যান। আহত হন ১ হাজার ৫শ’ ২৪ জন।
ভবন ধসে প্রাণহানির এ ঘটনায় সে সময় 'অবহেলাজনিত মৃত্যুর' অভিযোগে একটি মামলা করেন সাভার থানার এসআই ওয়ালী আশরাফ। এছাড়া ইমারত বিধি মেনে রানা প্লাজা নির্মাণ করা হয়নি- এমন অভিযোগে রানাসহ ১৩ জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করেন রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল আহমেদ।
হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনের মামলা দু’টির তদন্ত করে ২০১৫ সালের ১ জুন পৃথক দু’টি চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিনিয়র এএসপি বিজয় কৃষ্ণ কর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৬
এমআই/এএসআর