ঢাকা: সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের অভিযোগে সাতবছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।
পরে শুনানি শেষে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম শামসুল আলম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পিপি নজরুল ইসলাম শামীম।
তিনি জানান, সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মামলার রায়ের খসড়া ফাঁস মামলায় সাতবছর সাজাপ্রাপ্ত আসামি অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে আবেদনের উপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়। মেহেদী হাসান মামলার শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম শামসুল আলম এ সাজা দেন।
ওইদিন রায়ে সাকার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে ১০ বছর, তার সহকারী আইনজীবী মেহেদী হাসান, ম্যানেজার মাহাবুবুল আহসান, ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুক আহমেদ ও নয়ন আলীকে সাতবছর করে কারাদণ্ড দেন।
অপর দুই আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাদ কাদের, ছেলে হুম্মাম কাদেরকে খালাস দেন ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল।
২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক শাহজাহান আসামি ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সংবাদকর্মীদের দেখান।
রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার একেএম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৬
এমআই/এসএইচ