মানিকগঞ্জ: সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যমুনা নদী থেকে ইলিশ শিকারের অপরাধে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আটজন জেলেকে কারা ও অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদের মধ্যে সাতজনকে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ ও একজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামাল মোহাম্মদ রাশেদ এ আদেশ দেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. রফিকুল আলম জানান, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, বিক্রি ও মজুদ করা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কেউ যাতে এ সময়ে ইলিশ ধরতে না পারে সেজন্য সরকার অভিযান চালাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে শনিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে ইউএনও কামাল মোহাম্মদ রাশেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আ ন ম বদরুদ্দোজা ও পাটুরিয়া নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. শামসুল আলমের নেতৃত্বে যমুনা নদীতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ইলিশ ধরার সময় আট জেলেকে আটক করা হয়। এরা হলেন-পাবনা জেলার শাহজাদপুরের মো. শফিকুল ইসলাম (২৭), মোহাম্মদ গাজী (২৬), শিবালয় উপজেলার চরশিবালয়ের আব্দুল মতিন (৩০), সাইদুর রহমান (২৬), মো. হানিফ (২৫), মোহাম্মদ আলী (২৫), তেওতা ইউনিয়নের আলোকদিয়া চরের সুরুজ আলী (২৫) ও মিজানুর রহমান (১৭)। এসময় তাদের কাছ থেকে এক লাখ মিটার কারেন্ট জাল এবং ১০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
পরে সবাইকে শিবালয় উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে এনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। এসময় সাতজনকে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তবে মিজানুর রহমানের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাকে জরিমানা করা হয়।
এদিকে, উদ্ধার করা কারেন্ট জাল পরে পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং ইলিশগুলো স্থানীয় এতিমখানায় দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৬
এসআই