ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সিলেটের বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুলের মুক্তিতে ‘বাধা নেই’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
সিলেটের বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুলের মুক্তিতে ‘বাধা নেই’

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ্ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার বিস্ফোরক মামলায় কারাবন্দি সিলেট সিটি করপোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

ঢাকা: সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ্ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার বিস্ফোরক মামলায় কারাবন্দি সিলেট সিটি করপোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

 

হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর সোমবার (১৪ নভেম্বর) কোনো আদেশ দেননি (‘নো অর্ডার’) চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত।

ফলে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রয়েছে বলে  জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। আরিফুলের পক্ষে শুন‍ানি করেন  ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আব্দুল হালিম কাফি।

পরে তিনি জানান, আরিফুলের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা ছিলো। একটিতে আগেই জামিন পেয়েছেন। আজ অন্যটিতেও জামিন বহাল থাকায় তার জামিনে মুক্তিতে বাধা নেই।  

রোববার (১৩ নভেম্বর) সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ্ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার বিস্ফোরক মামলায় কারাবন্দি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র (বরখাস্ত) আরিফুল হক চৌধুরীকে জামিন দেন হাইকোর্ট।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যেরবাজারে ঈদ পরবর্তী এক জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলার শিকার হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ্ এ এম এস কিবরিয়া। ‌উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার দিন মধ্যরাতে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন।
আইনজীবীরা জানান, হত্যা মামলায়ও তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছন।

প্রথমে সিআইডি’র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান তদন্ত করে ২০০৫ সালের ২০ মার্চ মামলাটি ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দু’টির অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন। পরে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আদালতের নির্দেশে সিআইডি’র সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম এ মামলার অধিকতর তদন্ত করে ২০১১ সালের ২০ জুন আরও ১৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আগের আসামিদেরও এতে রাখা হয়।

কিন্তু ২০১১ সালের ২৮ জুন কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা কিবরিয়া অভিযোগপত্রের ওপর হবিগঞ্জের বিচারিক আদালতে নারাজি আবেদন করেন।

২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি নারাজি আবেদন গ্রহণ করে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

এ আদেশের প্রেক্ষিতে সিআইডি’র এএসপি মেহেরুন নেছা ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে কিবরিয়া হত্যা মামলার সংশোধিত সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন। নতুন আসামিদের নিয়ে এ মামলায় আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ জন।

এরপর ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর ওই ১১ জনকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এ পরোয়ানা জারির পর একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর আরিফুল হক চৌধুরী আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর মধ্যে অসুস্থ মাকে দেখতে একবার তিনি ১৫ দিনের জন্য জামিন পেয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।