ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৬
জেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট

৬১ জেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আবেদনের শুনানির জন্য ৪ ডিসেম্বর (রোববার) দিন ধার্য করেছেন।
 

ঢাকা: ৬১ জেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আবেদনের শুনানির জন্য ৪ ডিসেম্বর (রোববার) দিন ধার্য করেছেন।


 
সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) জেলা পরিষদ আইনের তিনটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
 
তিনি বলেন, জেলা পরিষদ আইন ২০০০ সালের ৪ (২) ও ১৭ ধারা এবং জেলা পরিষদ সংশোধিত আইনের ৫ ধারাকে রিটে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এসব ধারায় বলা হয়েছে- জেলার অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান যেমন- সিটি করপোরেশন (যদি থাকে), উপজেলা পরিষদ, পৌর করপোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য হবেন। এবং তারা জেলা পরিষদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।
 
তিনি আরও বলেন, উপজেলা পরিষদ আইনের এই তিনটি ধারা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭, ১১, ২৬, ২৭, ৩১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ এবং প্রস্তাবনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এর মধ্যে সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আর ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্থানীয় সরকারের প্রত্যেক ইউনিটে প্রতিনিধিরা আইন অনুযায়ী নির্বাচিত হবেন। বাংলাদেশে ইলেক্টোরাল ভোটের নিয়ম নেই। ইলেক্টোরাল ভোটগ্রহণ করার আগে এ সংক্রান্ত বিধি করতে হবে। তা না করেই ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত সঠিক হচ্ছে না।  
 
ইউনুছ আলীর মতে, ২০১৬ সালে জেলা পরিষদ আইনে যে সংশোধনী আনা হয়েছে সেটিও সঠিক হয়নি। তাছাড়া নির্বাচনের মনোনয়নের সময় পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী সরকারি দল থেকে বলা হয়েছে, যারা মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য হতে পারেননি, দলে পদ-পদবিও নেই এসব নেতাদের খুঁজে বের করে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় আইনের বিধানগুলো ১৬ কোটি মানুষের স্বার্থে নয় দলীয় স্বার্থে করা হয়েছে। তাই এ রিট আবেদন করা হয়েছে।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৬
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।