ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার জামিনের আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ফলে এবারও জামিন পাননি এমপি রানা।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ একেএম মনিরুজ্জামান কবির।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চও রানার জামিনের আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছিলেন।
০৯ অক্টোবর একই আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর অবকাশকালীন বেঞ্চ।
আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এমপি রানা গত ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।
পরে আবারও জামিন আবেদন করলে গত ২৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া তার জামিন নাকচ করে আদেশ দেন। বিচারিক আদালতে নাকচের পর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।
এ মামলায় গত ০৩ ফেব্রুয়ারি এমপি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
ইএস/এএসআর