ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পেপারবুকের জন্য তৈরি হচ্ছে সাত খুনের ডেথ রেফারেন্স

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭
পেপারবুকের জন্য তৈরি হচ্ছে সাত খুনের ডেথ রেফারেন্স সাত খুনের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা:  নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার রায়ের কপি, জুডিশিয়াল রেকর্ড, সিডিসহ বিভিন্ন নথিপত্র (ডেথ রেফারেন্স ) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

তাদের যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রতিবেদন (ফাইল) আকারে মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করা হবে। এরপর প্রধান বিচারপতির অনুমোদন সাপেক্ষে পেপারবুক ছাপানোর জন্য পাঠানো হবে।



সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. সাব্বির ফয়েজ বলেন, ফাইল উঠানোর (প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন) কাজ চলছে।     

 
গত ২২ জানুয়ারি এ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছে।
 
ওই দিন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এখন এটি ফৌজদারি শাখায় পাঠানো হবে। তারা এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পেপারবুক তৈরির জন্য পাঠাবেন। পেপারবুক তৈরি হওয়ার পর এ মামলা দ্রুত শুনানিতে আবেদন করা হবে।
 
গত ১৬ জানুয়ারি  সাত খুনের মামলার রায়ে প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র্যাবের বরখাস্তকৃত তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রাজজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত। এ মামলার ৩৫ জন আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
 
সাজাপ্রাপ্ত ৩৫ আসামির মধ্যে ১২ জন পলাতক। গ্রেফতারকৃত ২৩ জনেরমধ্যে ১৮ জনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে ও ৫ জন গাজীপুরেরকাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ ও পার্ট-২ এ রাখা হয়েছে।  

পরে ২২ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। ওই দিন বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জের সরকারি কৌঁসুলি ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন,  দু’টি মামলার রায় ১৬৩ পাতায় লেখা হয়েছে।
 
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ৠাব একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী, ৠাবের  সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়নি, ৠাব এখনো আগের মতই রয়েছে। জঙ্গি দমন, সন্ত্রাস দমন, মাদক নির্মূলে ৠাবের অনেক সুনাম রয়েছে। বাংলাদেশে ৠাবের গৌরবোজ্জ্বল ভুমিকা রয়েছে। জাতির ক্রান্তিলগ্নেও ৠাব কাজ করেছে। কিন্তু সাত খুনের ঘটনায় ৠাবের ক’জন উচ্চাভিলাসী কর্মকর্তার কারণে এ সাত খুনের ঘটনা ঘটেছে, যা দুঃখজনক।

এক্ষেত্রে বিচারক ৠাবকে তিরস্কৃত ভাষায় বলেছেন, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের উচ্চাভিলাসী সদস্য নিয়োগ করা না হয় এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
 
পিপি আরো বলেন, রায়ের পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, নূর হোসেন ও নজরুল দু’জনই সন্ত্রাসী। দু’জনেরই বিশাল বাহিনী ছিলো। তাদের মাঝে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নানা বিরোধ ছিল। সে বিরোধের কারণেই নজরুল ছিলেন নূর হোসেনের একক টার্গেট। আর এজন্য আরো ছয়জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।