এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (০৫ জুন) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ নিষেধাজ্ঞা দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
পরে আইনজীবী সারোয়ার বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ গত ২০ এপ্রিল ওই সড়কে অতিরিক্ত ওজনবাহী যান চলাচল বন্ধে ব্যবস্থার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ২০১২ সালে প্রকাশিত বিআরটিএ নীতিমালা অনুসারে, সিঙ্গেল অ্যাক্সেলের একটি গাড়ির সর্বোচ্চ ওজন ক্ষমতা সাড়ে ১৫ টন, যা ওই লিংক রোডে চলাচলের উপযোগী। সাড়ে ১৫ টন ওজনের বেশি ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে। ওই চিঠি দেওয়ার পরও দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।
গত ২৫ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘তদারকির অভাবে বছর ঘুরতেই রাস্তা ভেঙে তছনছ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এটি যুক্ত করে বনশ্রীর বাসিন্দা এ কে এম কামরুল হাসান খান পাঠান রোববার (০৪ জুন) রিটটি করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে ওই লিংক রোডটি ধ্বংস ও ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকা মহানগর পুলিশর কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনারসহ (ট্রাফিক) ১১ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৭
ইএস/এএসআর