এ বিষয়ে করা ২৩৩টি রিটের নিস্পত্তি করে বুধবার (০৫ জুলাই) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করীম, আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান, ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন, ব্যারিস্টার আবদুল কাইয়ুম, আইনজীবী ফারজানা খান, আসিফ আলী খান ও আইনজীবী মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
রায়ের পরে ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন বলেন, ওই তিন এলাকার অবৈধ স্থাপনা মালিকদের সরাতে ১০ মাস সময় দিয়েছেন আদালত। এ সময়ে রাজউক কোনো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে পারবে না। পানি, বিদুৎ, গ্যাসের লাইনও বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। ১০ মাসের মধ্যে যদি না সরায় তাহলে বিনা নোটিশে উচ্ছেদ করতে পারবে।
তবে ব্যারিস্টার আবদুল কাইয়ুম বলেন, আদালত ১০ মাসের সময় দিয়েছেন। এর মধ্যে যারা রাজউক থেকে অনুমতি নিতে পারবে তারা থাকবে। আর যারা পারবে না তাদের উচ্ছেদ হতে হবে। কারণ আবাসিক এলাকায় সীমিত আকারে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালানো যেতে পারে।
২০১৬ সালে গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার পর অনুমোদনবিহীন ৫৫২টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে রাজউক। এ প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের জন্য ২৫ জুলাই থেকে কার্যক্রম শুরু করেছিলো রাজউক। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে। যে আবেদনগুলোর শুনানি নিয়ে বুধবার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
ওই সময়ে আবেদনকরা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হলো, ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোড এলাকার বাবুর্চি রেস্টুরেন্ট, পুল ওয়ার্ল্ড, কড়াই গোশত, গুলশানের হোটেল ডি ক্যাস্ট্রল লিমিটেড, স্কলাস্টিকা স্কুল, অরুরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, হোটেল হলিডে প্যানেট, হোটেল আমরাই , বনানীর কফি ওয়ার্ল্ড, ফুড প্যালেস রেস্টুরেন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৭
ইএস/এসএইচ