ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী প্রবর্তন ও পরবর্তীতে আদালতের দ্বারা বাতিলের ঘটনায় নিকট ভবিষ্যতে একদিকে বিচার বিভাগ ও অন্যদিকে নির্বাহী বিভাগ এবং আইন বিভাগের মধ্যে টানাপোড়েন বাড়তে পারে। অর্থাৎ বিচার বিভাগ স্বাধীন কিন্তু চাপমুক্ত নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘নিম্ন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় ও সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে টানাহেঁচড়া সম্ভবত অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন বেশি। বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ কম হলে উন্নয়ন দ্রুত হবে- এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। নিঃসন্দেহে দেশে গণতন্ত্রের সংকট চলছে। ’
আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক আসিফ নজরুল বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করা খুবই ভালো হয়েছে। কিন্তু বিচার বিভাগের স্বাধীনতা যেমন জরুরি ঠিক তেমনি জবাবদিহিতাও থাকা উচিত। আজ আমরা যখন ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের জন্য প্রশংসা করায় উচ্চ আদালত খুশি হচ্ছেন ঠিক তেমনি তাদের কোনো বিষয়ে কথা বললে যাতে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা না হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, লেখক কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বেলার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, বর্তমানে স্বাধীন এই দেশের মানুষরা যার যার স্বাধীনতা নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন। বাজেটে সুপ্রিম কোর্টের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ থাকা খুব জরুরি। কিন্তু ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সুপ্রিম কোর্টের উন্নয়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ শূন্য টাকা। এদিকে সরকারকে নজর দেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৭
ইউএম/এমজেএফ